তিনি বলেন, ‘পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। কিন্তু অনেকে সংকীর্ণ ব্যক্তিস্বার্থে পাহাড়, টিলা কেটে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে পরিবেশের স্থায়ীভাবে ক্ষতিসাধন করছে। পাহাড় ও টিলা কেটে যারা ক্ষতি করছে পরিবেশের সুরক্ষায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত ২০২০-২১ অর্থবছরে রবি মৌসুমে বীজ সহায়তা প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বোরো হাইব্রিড ধান বীজ বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সিলেট, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অংশ পাহাড় ও টিলার কারণে পর্যটন অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। পাহাড় ও টিলা কাটা বন্ধ না হলে প্রকৃতি তার ভারসাম্য হারাবে এবং জনগণের ভ্রমণের জায়গাও সংকুচিত হবে।
মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, কোটি টাকা ব্যয় করে সুন্দর বাড়ি বা স্থাপনা নির্মাণ করা গেলেও পাহাড়, নদী তৈরি করা যায় না। দেশের মানুষের জন্য বাসযোগ্য পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে পাহাড় টিলা কাটা বন্ধ করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত কৃষকদের উচ্চ ফলনশীল ধান চাষের আহ্বান জানান তিনি।
জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান রুহুল ইসলামের সভাপতিত্বে জুড়ী উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাস, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রনজিতা শর্মা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন প্রমুখ বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় উপস্থিত ছিলেন।